শনিবার, ১২ মে, ২০১২

যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ‘সর্বাত্মক লড়াই’ চালানোর সেনাবাহিনীর কোর্স বাতিল

বিবিসি
যুক্তরাষ্ট্রের এক সামরিক প্রশিক্ষণ কলেজে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াই চালানোর যে কোর্স পড়ানো হচ্ছিল, দেশটির সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক আজ তার নিন্দা করেছেন
যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্টিন ডেম্পসি বলেন, এ কোর্সটি খুবই আপত্তিকর এবং তা মার্কিন মূল্যবোধের পরিপন্থী
ভার্জিনিয়ার জয়েন্ট ফোর্সেস স্টাফ কলেজে এই বিতর্কিত কোর্সটি পড়ানো হতো এতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের পাশাপাশি ইসলামের পবিত্রতম নগরী মক্কার ওপর সম্ভাব্য পরমাণু বোমা হামলার কথাও ছিলতবে এটি নিয়ে বিতর্কের পর তা বাতিল করা হয়েছে

বুধবার, ২ মে, ২০১২

বিয়েতে ধর্ম ও সন্তানের ধর্মীয় পরিচয় বাদ দেয়া কোরআনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা

বিশেষ বিবাহ আইন প্রণয়ন করে আন্তঃধর্ম বিবাহের অনুমোদন করা এবং ছেলে না থাকলে কন্যাসন্তানকে পুরো সম্পদের মালিক করে মুসলিম পারিবারিক আইন সংশোধনের উদ্যোগে সরকারের সঙ্গে দেশের আলেমসমাজের বিরোধিতা প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে

আইন দুটি পাসের ইঙ্গিত দেয়ার পর থেকে আলেমদের বিভিন্ন সংগঠন একে ইসলাম বিরোধী আখ্যায়িত করে বক্তৃতা-বিবৃতি ও প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেঅন্যদিকে, সরকার বলছে প্রস্তাবিত আইনে ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো কথা নেই

আন্তঃধর্ম বিবাহ প্রসঙ্গ
জানা যায়, নিজ ধর্ম বিশ্বাস বাদ দিয়ে যেসব নারী-পুরুষ বিবাহ করতে আগ্রহী তাদের বিয়ের রেজিস্ট্রি করতে গত ১৮ এপ্রিল আইনমন্ত্রীর এপিএস (সহকারী একান্ত সচিব) আকছির এম চৌধুরীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছেএতদিন এই বিয়ে পড়ানোর একমাত্র স্থান হিসেবে নির্ধারিত ছিল পুরান ঢাকার পাটুয়াটুলী শরৎচন্দ্র ব্রাক্ষ্র প্রচারক নিবাসএখানের প্রাণেশ সমাদ্দার ছিলেন সরকার নিযুক্ত একমাত্র রেজিস্ট্রারএখন উভয়ে এই বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে পারবেনএখানে সবাই স্বাধীনভাবে যেকোনো ধর্মের (হিন্দু-বৌদ্ধ, খ্রিস্টান-মুসলমান) নারী-পুরুষ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন

এই আইন অনুযায়ী একজন মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ইহুদি কিংবা অন্য যেকোনো ধর্মের যে কেউ যে কাউকে বিয়ে করতে পারবেএজন্য পাত্র-পাত্রী কাউকেই ধর্মান্তরিত হতে হবে নাধর্ম পরিবর্তন ছাড়াই তারা দাম্পত্য জীবনে প্রবেশ করতে পারবেইচ্ছে করলে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে অথবা যেকোনো একজন নিজ ধর্মীয় বিশ্বাস বাদ দিতে পারেএ ধরনের বিয়ের মাধ্যমে জন্ম নেয়া সন্তানদের কোনো ধর্মীয় পরিচয় থাকবে নাবড় হয়ে (১৮ বছর) তারা যেকোনো ধর্ম বেছে নিতে পারবে অথবা ধর্ম বিশ্বাস ছাড়াই জীবন যাপন করতে পারবে

আরো দেখুন

Related Posts with Thumbnails