শনিবার, ৮ জুন, ২০১৩

এই মাঠে কোন রাখাল গরু চড়ায় ! ! ! ----(১)

কোন ভূমিকা নয়। লেখালেখি জগত থেকেই শুরু করি। এইতো কিছু দিন আগেও এই বাংলা সাহিতে কোন কবি, সাহিত্যিকদের দাপট ছিল? কাদের পদচারনায় মুখর ছিল এই বাংলা সাহিত্য? ফররুখ আহমেদ, কায়কোবাদ, মীর মোশাররফ হোসেন, নজরুল, আহসান হাবীব প্রমুখ। তাদের পরিচয়, তাদের স্বকীয়তা কি? তারা কোন ধারার কবি সাহিত্যিক ছিলেন? তারা ছিলেন ইসলামিক ধারার কবি। তাদের কবিতায়, গল্পে, সাহিত্যে আমরা জেনেছি ইসলামিক ইতিহাস, ইসলামিক ঐতিহ্য, আরো কত কি? তাদের চলে যাওয়ার পর এই মাঠে কোন রাখাল গরু চড়ায়! আফসোস! তার পরবর্তী কবি সাহিত্যিক যারা হলেন তারা হল শামসুর রহমান, হুমায়ুন আজাদ, সৈয়দ শামসুল হক, আবুল হোসেন, আল মাহমুদ। তাদের কলম থেকে কি ছড়ায়। শুধুই দুর্গন্ধ। অনেকে হয়ত আল মাহমুদ বা আবুল হোসেনকে আলাদা করে দেখতে চাইবেন। তাহলে আল মাহমুদ এর কবিতা থেকে একটি লাইন এখানে চয়ন করা হয়, " তোমার বীজ ধারন করে আমি হব ফলবতী বৃক্ষ" । কিংবা আবুল হোসেন এর কবিতা, " তুমি শাড়ি পড়, শাড়ি সাথে ম্যাচ করে ব্লাউজ পড়"। ইত্যাদি ইত্যাদি। কিভাবে আপনারা আল মাহমুদ কিংবা অন্য কাউকে এই ভাবধারা আনতে চাইছেন। তাহলে অব্শ্যই বলতে হবে আপনারাও এই একই ভাবধারার সাহিত্যিক। আর এই জন্যই এই মাঠে এখন গরু চড়ায় যত্তসব নষ্ট মেজাজের রাখাল। আপনারা যারা আলেম হয়েছেন, যারা লেখা করেন তারা শুধুই নামের জন্য লিখেন। আজব লাগে একটা লেখা লিখতে পারলে ফেসবুকে কয়বার যে ষ্টাটাস দেয় হিসাব নাই। আর আপনাদের এই লৌকিক লেখার জন্য বর্তমান প্রজন্ম সাহিত্য বলতে বুঝে কতগুলো নষ্ট পচা কিছু কালো লেখা। কেন এই মাঠে ছেড়ে দিলেন? আমি আবারও বলছি দুটো পয়সা, দু একবার নাম ছাপনো যদি আপনাদের লক্ষ হয় তবে এই পরিচয়ে কেন (আপনি আলেম, বা ইসলামিক ব্যক্তিত্ব)? এই পোষাকে খুলে ফেলে তাদের ঐ পোষাক পড়ে নিলেই তাদের মতই তো পয়সা কামানো যায়। মাঝখানে থেকে আমাদেরকে বোকা বানানোর প্রয়োজন কি। 
ধিক্কার শতবার। আমাদেরতো ধার করা ঐতিহ্যে দরকার নেই। বিলীন হবারও প্রয়োজন নেই। তবে কেন?

আরো দেখুন

Related Posts with Thumbnails