শনিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১২

একমাত্র জান্নাতের পথ



                                                                                 হাফেজ মাও: আবু মাছরুর
হাদীস শরীফে এসেছে:  হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস বলেন: আল্লাহর রাসূল, : বলেছেন। আমার উম্মতের এক এমন সময় আসবে যে, তারা পদে পদে বনী ইসরাইলীদের (ইহুদী,খৃষ্টান) অনুসরণ করবে, এমনকি তাদের কেউ যদি তার মায়ের সাথে যিনা করে তবে আমার উম্মতের মধ্যে তা অনুসৃত হবে। বনী ইসরাইলীরা ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছে আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে।  একদল ব্যতিত সকলেই জাহান্নামী ।  সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন হে আল্লার রাসূল, সেই দলটা কোনটা? রাসূল স: বললেন আমি ও আমার সাহাবীরা যার (নীতি, বিশ্বাস,আদর্শের) উপর আছি।  হাদীসটি ইমাম তীরমিজি তার কিতাবে বর্ণনা করেছেন ।  কেউ কেউ এমনভাবে বর্ণনা করেছেন যে, আজ আমি ও আমার সাহাবীরা যে অবস্থায় আছি সে অবস্থা অনুসরণকারী দল। হযরত ইবনে কাসীর এর ব্যক্ষায় বলেছেন যে, সেই দলটি হল যারা আল্লাহর কালাম ও রাসূলের জীবনাদর্শ দাত কামড়ে অনুসরন করে চলবে।  এবং প্রথম সাড়ির সাহাবায়ে কেরাম যেভাবে জীবন চালিয়েছেন।
বন্ধুরা আমার! ইসলামী এই বিশুদ্ধ ও পরিচ্ছন্ন পথ থেকে আমরা কত দূরে অবস্থান করছি।  আমরা আমাদের দ্বীন নিয়ে নানা মতপার্থক্য করে বিভিন্ন দলে উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়েছি।  আর নিজেদের বিষয় নিয়ে আমরা খুব সন্তুষ্ট।  আমরা কি ভেবে দেখেছি যে, আমরা বিভিন্ন দেশ ও বিভিন্ন জাতি হিসেবে নিজেদের পরিচয় তুলে ধরছি অথচ আমাদের দেশ ও আমাদের জাতী একটাই ছিল।  আমরা বিভিন্ন নিবার্চন, বিপ্লব, মার্কাকে মাথার মুকুট বানিয়ে বসে আছি আর আমরা প্রত্যেক দলই তাদের নিবার্চনে বেজায় খুশি।
     প্রিয় বাংলাদেশের মুহাম্মদ স: এর অনুসারীরা! আজ রাসূল স:, আবুবকর র:, ওমর র: সাহাবায়ে কেরাম দুনিয়াতে থাকলে আরাকানে মুসলিম গনহত্যা, নিযার্তন দেখে বলতেন না যে, তারা তো অন্য দেশের মানুষ। তাদের ব্যপারে আমার কোন জিম্মাদারী নাই।  তারা বসে বসে এ অপেক্ষা করতেন না যে আজ তাদের কে হত্যা করছে যখন আমাদের নিকট আসবে তখন আমরা জিহাদে নেমে পড়ব।  সেই রাসূল ও আবু বকর ওমর সাহাবায়ে কেরাম যারা একজন ওসমানের র: হত্যার মিথ্যা গুজব শুনে যুদ্ধের উপর দৃঢ় অংগিকার করেছিলেন نحن الذين بايعوا محمدا * علي الجهاد مابقينا ابدا আমরা মুহাম্মদ স: এর হাতে এ ব্যাপারে অংগিকার করছি, জিবনের শেষরক্তবিন্দু পযন্ত জিহাদ করব।  সেই রাসূল স: যিনি আরব সিমান্তে কিছু মুসলিমকে নিযাতনের কথা শুনে ততকালিন সুপার পাওয়ার রোম সম্রাজ্যের বিরুদ্দে তার প্রানপ্রিয় সাহাবাদের যুদ্ধের জন্য “মুতা” য় পাঠালেন স্বয়ং তিনি সহ সবাই নিজেদের সমস্ত জান মাল নিয়ে তাবুকের ময়দানে গেলেন।
     প্রিয় বাংলাদেশের ওলামায়ে কেরাম! আপনাদের মাদরাসা যদি ইসলাম ও রাসুলের সুন্নতের অনুসনে বাধা হয়ে দাড়ায় তবে বাদ দিন এ শিক্ষা! যে শিক্ষা জাতীর কোন উপকারে আসে না সে শিক্ষা দিয়ে দরকার।  আপনাদের শিক্ষা যে টার্গেটে ফরজ করা হয়েছে সে টার্গেট আপনারা ফেল করেছেন।  কোরআন শরীফে এসেছে –
وَمَا كَانَ الْمُؤْمِنُونَ لِيَنْفِرُوا كَافَّةً فَلَوْلا نَفَرَ مِنْ كُلِّ فِرْقَةٍ مِنْهُمْ طَائِفَةٌ لِيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنْذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ
এখানে জাতীকে সতর্ক করার জন্য আপনাদের কে নির্ধারণ করা হয়েছে। আপনারা কি জাতীকে এ নিচের শাস্তির আয়াতগুলো সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। 
(1) وَمَا لَكُمْ لا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَل لَنَا مِنْ لَدُنْكَ وَلِيًّا وَاجْعَل لَنَا مِنْ لَدُنْكَ نَصِيرًا
(2) إِلا تَنْفِرُوا يُعَذِّبْكُمْ عَذَابًا أَلِيمًا وَيَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُمْ وَلا تَضُرُّوهُ شَيْئًا وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
(3) وَأَنْفِقُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ وَأَحْسِنُوا إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ
 অথচ এয়াত সমূহে আল্লাহ শাস্তির হুমকি দিয়েছেন।  আপনারা কি হয়ে গেছেন যে, কিতাবুল্লা ও রাসুলের সুন্নতের উপর এক্যবদ্ধ হতে পারেন না।  আপনারা কি ওমর (র:) ওসমান (র:) আলী (র:) মযাদা ও সম্মানের দিক থেকে বেশী বড় হয়ে গেছেন। তারা কি হযরত উসামা ইবনে যায়েদের র:  নেতৃত্বে যুদ্ধ করে নাই।? কি আপনাদের এই শিক্ষা আপনার এ অহংবোধ কে বাড়িয়ে দিয়েছে আপনারা এক্যবদ্ধ হতে পারছেন না? যে কারনে আজ আরাকানের ও ভুটানের ভাইদের সাহায্যে আমরা ব্যর্থ হচ্ছি।  আল্লাহর কাছে এ ব্যপারে আপনাদের জবাব দেবার আছে?
 কেন আপনারা ঐক্যবদ্ধ্ হচ্ছেন না?  আপনারা আল্লাহ কে বলবেন, অমুক আমার ঝান্ডা তলে আসেনি তাই আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারিনি। আমি তাদের ডেকেছি।  আপনাদের তো রাসুল জান্নাতের সার্টিফিকেট দেয়নি যেমন হাসান র: সম্পর্কে রাসুল স: সেই সার্টিফিকেট দিয়েছেন।  তিনিতো হযরত মুআবিয়ার র: নিকট খেলাফত হস্তান্তর করেছেন।  আপনাদের কারণে আজ উম্মত শতধাবিভক্ত।  আরাকান ও ভুটানের ভাইদের জন্য কোন উপকারে যদি আপনারা না আসেন তবে মাদরাসার ভন্ডামী বন্ধ করুন কারণ রাসুলের শিক্ষা আপনাদের মাদরাসার শিক্ষার থেকে উত্তম ছিল তিনি মসজিদে নববী ছেড়ে বের হয়েছিলেন। 
     ওলামায়ে কেরাম! আপনারা নবীদের ওয়ারিস হিসাবে নিজেদের দাবী করেন।   শুধু রাসুলের ওয়ারিস নয় নবীদের ওয়ারিস! কি? মুসা আ: যখন আল্লাহর নিকট থেকে এসে দেখলেন জাতী বাছুর পুজা করছে তখন মুসা আ: হারুনকে জিজ্ঞাসা করলেন তোমার সামনে শিরক হচ্ছে আর তুমি তাদের কিছু বললে না? তখন হারুন আ: কি জবাব দিয়েছিলেন:
إِنِّي خَشِيتُ أَنْ تَقُولَ فَرَّقْتَ بَيْنَ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَلَمْ تَرْقُبْ قَوْلِي
আপনি একথা বলবেন এ ভয়ে আমি তাদের কিছু বালিনি যে তুমি বনী ইসরাইলের মধ্যে বিভেধ সৃষ্টি করেছ।  নবীদের শিক্ষা তো ছিল জাতীকে এক্যবদ্ধ রাখা অস্ত্র হিসেবে তাদের সুন্দরতম আখলাক নরম ভাষা।  আর আপনারা তো আজ ফেরাউনের চেয়ে বেশী নিজেদের অহংকারী বানিয়েছেন অথচ এ আয়াত আপনাদের ব্যপারে বলে দাবী করেন
أَمْ مَنْ هُوَ قَانِتٌ آَنَاءَ اللَّيْلِ سَاجِدًا وَقَائِمًا يَحْذَرُ الْآَخِرَةَ وَيَرْجُو رَحْمَةَ رَبِّهِ قُلْ هَلْ يَسْتَوِي الَّذِينَ يَعْلَمُونَ وَالَّذِينَ لا يَعْلَمُونَ إِنَّمَا يَتَذَكَّرُ أُولُو الْأَلْبَابِ
যে ব্যক্তি রাত্রিকালে সেজদার মাধ্যমে অথবা দাড়িয়ে এবাদত করে, পরকালের আশংকায় আশংকিত এবং স্বীয় প্রভুর দয়ার আশা করে।  বলূন যারা জ্ঞানী এবং যারা জাহেল এক সমান হতে পারে।  চিন্তা-ভাবনা তারাই করে যারা বুদ্ধিমান। 
আখেরাতের চিন্তা-ভাবনা আশংকা কিছুই আপনাদের মধ্যে দেখিনা। আপনাদের আত্ব অহংবোধ কবে শেষ হবে যে দিন ইন্ডিয়ার মুসলমানদের মুশরিকরা খতম করে আমাদের দিকে এগোবে তখণ? পড়সী মুসলমান ভাইবোনদের ব্যপারে আল্লাহ কে ভয় করুন হে বাংলাদেশের ওলামায়ে কেরাম! আরাকানের মুসলমান ভাইবোনদের ব্যপারে আল্লাহ কে ভয় করুন হে বাংলাদেশের ওলামায়ে কেরাম! ভুটানের মুসলমান ভাইবোনদের ব্যপারে আল্লাহ কে ভয় করুন হে বাংলাদেশের ওলামায়ে কেরাম!
     যদি এখনো আপনাদের ঘুম না ভাংগে তবে আমরা রাসুলের উম্মতরা আপনাদের উদ্ধেশ্য করে বলছি, আমরা সাধারণ মুসলমান ও মুহাম্মদ স: ও তার সাহাবীরা আপনাদের এই আছাবিয়্যাত ও জাহেলী যুগের কওমিয়্যাত থেকে আমরা মুক্ত। 
اننا برئاء منكم ومما انتم عليه
সারা দুনিয়া আজ ফেতনায় নিপতিত।  এবার পুনরায় উপরের হাদিসের বিষয়ে সারা দুনয়াকে একটু পযালোচনা করি।
আজ যদি আমর ইবনুল আস (মিসরের প্রথম ইসলামী গভর্ণর)  মিসর দেখতেন সেখানে ইসলামী রাজনৈতিক দলের উন্থান হয়েছে।  কিন্তু ইসলাম বিজয়ী হয় নাই। তবে কি তিনি সন্তুষ্ট হবেন।?
আজ রাতে যদি মুরসি মারা যান, হায়াত-মওত আল্লাহর হাতে নয় কি? তবে কি সে আল্লাহর সামনে দাড়াবে না? এমতাবস্থায় যে, আল্লাহ বিচারকের মত তার বিচার করবে।  তখন তার পদ-কম্পন শুরু হবে না? যখন তাকে জিজ্ঞাসা করবে, মুরসি! তুমি কি দিয়ে দেশ চালনা করেছ? তখন সে বলবে, হে মহাপরাক্রমশালী প্রভূ ! আপনি তো খুব ভালভাবেই অবগত যে, আমি গণতান্ত্রিক নিয়ম-কানুন মেনে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছি।  আর আমি সেনা বাহিনীর কাছে নতজানু হয়েছি এই কারণে যে সেখানে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত মওজুদ ছিল।  আর আমি মিসরের সারভৌমত্ব ও সিমানা ঠিক রেখেছি।  ইহূদী জাতীর নিকট আমার অঙ্গিকার বাস্তবায়ণ করেছি।  আর ইহুদীদের রাষ্ট্রদুতদের জন্য কায়রোর মধ্যে একটি ইজ্জতময় জায়গার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।  যা সুদৃঢ় ও কঠিন পাহারাবেষ্টিত।   যে তাদের নিকটবর্তী হবে বা এ নির্মানের ব্যপারে সমলোচনা করবে তাকে আমাদের গণতান্ত্রিক নিয়মানুযায়ী আর ইহুদীদের সাথে অংঙ্গিকার অনুযায়ী তাকে শাস্তি দেই।  আর মক্কা মদিনায় সফর করেছি যাতে করে সেখানে আল্লাহবিরোধীদের সাথে বিভিন্ন বিষয় বানিয়ে বলতে পারি।  এতে করে দূর্ভাগা জনগণের যেন দূভোর্গ-দুশ্চিন্তা বাড়ে।  যার মধ্যে প্রতিবেশী দুরাষ্ট্রের কোন মঙ্গল নাই।  আর হুসনি মোবারক কাফেরদের সাথে পূবে যে সম্পর্ক প্রতিষ্টা করেছিলো সে সম্পর্ক তারচেয়ে সুন্দুরভাবে ফিরিয়ে দিয়েছি তখন কি জগতের প্রভূর নিকট থেকে কি এ জবাব আসবে না যে, হুসনী মোবরাক ও তোমার (মুরসি) মধ্যে কোন পার্থক্য নাই।  তোমরা অপরাধী আজকের দিন তোমাদের কোন কাজে আসবে না আর তোমরা সমান সমান আযাব ভোগ করবে।
     ভাইয়েরা আমার ! আমাদের নিকট কি জবাব আছে? আজ যদি উকবা ইবনে নাফে (আফ্রিকা বিজয়ী) বের হয়ে দেখে যে, তিউনিস ও লিবিয়া আলাদা আলাদা।  আর উভয়টা আল জেরিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন! আর মুরতানিয়া সহ অন্যান্য আফ্রিকী ভূমি ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন! গানুশী, জাবালা, আব্দুল জলিল, বুতাফলিকা, ৫ম মুহাম্মদ, এ সমস্ত শাসকদের তিনি যদি প্রশ্ন করেন ইসলামী শরিয়ত সম্পর্কে তারা কি জবাব দিবে? তারা বলবে, আমরা তো শরীয়তের সাথে মিলিয়ে রাষ্ট্র চালাইনি।  আমরা তো আমাদের গণতন্ত্র নিয়ে খুশি, আমাদের ভোটের ফলাফলেই আমরা সন্তুষ্ট, বরং তুমি তোমার কবরে গিয়ে শুয়ে থাক।  যদি তোমার মত হাজার লোক কবর থেকে একে একে উঠে আসে তবুও আমরা আমাদের দেশে ইসলামী শরিয়ত চালাব না।  আরে প্রস্তান কর, তোমাদের সময় আর আমাদের সময় এক না! তোমাদের বিষয় আর আমাদের বিষয়ে বিস্তর ব্যবধান আছে! তুমি তো আর আমিরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়াকে চিন না।  তোমরা তো ইসিহাসের অতলে আর আমরা হলাম সম্মুখে! তুমি তোমার কবরে যাও আমরা আমাদের ব্যাপারে ভাবব।  আর আমাদের হৃদয়সমুহতো তোমরা যে বিষয়ের ডাকো সে বিষয়ে আবৃত, আর আমাদের কান সমূহে আছে বোঝা, আমাদের আর তোমাদের মাঝে তো রয়েছে অন্তরাল।  (আয়াতের অংশ)
     হে মুসলমানেরা! আমরা কি জবাব দেব হযরত মুআয ইবনে জাবালকে, যাকে রাসুল স: ইয়ামানে শাসকর্তা বানিয়ে পাঠালেন ও তাকে জিজ্ঞস করলেন: তোমার সামনে কোন মুকাদ্দমা আসলে  তুমি কি দিয়ে সমাধাণ করবে? জবাবে তিনি বললেন: আল্লাহর কালাম দিয়ে।  রাসূল জিজ্ঞাসা করলেন:  আর আল্লাহর কালামে যদি না থাকে? উত্তর দিলেন: রাসুলের সুন্নতের অনুসরণ করব।  পূনরায় জিজ্ঞাসিত হলেন যে, উভয়টাতে যদি তুমি না পাও? উত্তর: উভয়টার উপর চিন্তা-গবেষনা করে নিজে ইজতেহাদ করে সিদ্ধান্ত নেব।  রাসূল খুশি হয়ে তার বুকে হাত মেরে আল্লাহর প্রসংশা করে বললেন: আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহর রাসূলের দূতের মতকে তার রাসূলের মতানুযায়ী করে দিয়েছেন।
আজ যদি তাকে আল্লাহ সুযোগ দেন ইয়ামেনের শাসকদের দেখার জন্য যারা জমিনে ফেতনা-ফাসাদ সৃষ্টি করে বেড়াচ্ছে ও একে অপরকে হত্যা করে যাচ্ছে।  তখন তারা তকে বলবে: তারা বলবে, হে মুআয! ভাগ এখান থেকে! তুমি যা দিয়ে শাসন করেছ আমরা তা দিয়ে শাসন করিনা।  আমরা তো আমাদের গণতন্ত্র নিয়ে খুশি, আমাদের ভোটের ফলাফলেই আমরা সন্তুষ্ট, বরং তুমি তোমার কবরে গিয়ে শুয়ে থাক।  যদি তোমার এক হাজার জান হয় আর প্রত্যেক জান নিয়ে এসেও যদি শরিয়ত দেশ চালাতে বল, তবুও আমরা আমাদের দেশ ইসলামী শরিয়ত মত চালাব না।  আরে প্রস্তান কর, তোমাদের সময় আর আমাদের সময় এক না! তোমাদের বিষয় আর আমাদের বিষয়ে বিস্তর ব্যবধান আছে! তুমি তো আর আমিরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়াকে চিন না।  তোমরা তো ইসিহাসের অতলে আর আমরা হলাম সম্মুখে! তুমি তোমার কবরে যাও আমরা আমাদের ব্যাপারে ভাবব।  আর আমাদের হৃদয়সমুহতো তোমরা যে বিষয়ের ডাকো সে বিষয়ে আবৃত, আর আমাদের কান সমূহে আছে বোঝা, আমাদের আর তোমাদের মাঝে তো রয়েছে অন্তরাল।  (আয়াতের অংশ-হামীম সিজদা)
ওমর ইবনে আব্দুল আযিয যদি আজ শাম দেখে- যা আজ টুকরা টুকরা।  মুসলমানরা দলে দলে বিভক্ত।  আর লেবানন ও ফিলিস্তিনে অপরাধী গোষ্ঠি হিংসাত্বকভাবে আক্রমন করছে আর বাড়ী-ঘর ভাংচুর-তছনছ করছে।   হামা পল্লি ও তারিমাসা জনপদের নিধনের ব্যপারে কি বলতেন।  হিম্স, বাবা আমর, শাগুর ব্রিজ, ইডলাব সহ অন্যান্য শহর-জনপদের মধ্যে যে দাঙ্গা-হাঙ্গামা চলছে তার মতামতকে আপনারাই ব্যাক্ষা করুন।
আজ আমরা রাসূল স: ও তার সাহাবীদের আদর্শ থেকে কত দূর থেকে বহুদূরে।  আমরা আল্লাহর কালাম ও রাসূলের সূন্নত ও খোলাফায়ে রাশিদীনের আদর্শ কে গনায় ধরি না।  অথচ রাসূল আমাদের আদেশ করেছেন এগুলোকে মাড়ির দাত দিয়ে আকড়ে ধরতে।  আমরা তো মাড়ির দাত দুরে থাক সামনের দাত দিয়ে নয়, মাঝের দুরবল দাত দিয়ে ধরছি না।  অথচ আমরা মসিবতের কারণে আমরা আঙ্গুল কামড়াচ্ছি।  আর আমাদের শত্রুরা যেন বলছে রাগে-ক্ষোভে তোমরা মরে যাও ভেবে দেখেছেন কি? কিভাবে আয়াতের অর্থ উল্টে গেল।  অথচ একথা বলা আমাদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ছিলাম।  যেমন : আল্লাহ আমাদের কাফেরদের বলতে বলেছেন: বল- তোমারা রাগে-ক্ষোভে মরে যাও, নিশ্চই আল্লাহ অন্তরসমূহকে ভালকরেই জানেন। (আল ইমরান ১১৯) সুতরাং কিসের উপর খুশি হওয়া যায়।  ঈদে কুরবানী দিয়ে আমরা মহা খুশি অথচ আমাদের শিশুদের জবেহ করা হচ্ছে, বোনদের বেইজ্জতি করা হচ্ছে।  আহ! আজ কি সালাউদ্দিন আইউবীর মত ভাই আর সৃষ্টি হবে না যে, একথা বলে নিজেকে কুরবানী দিতে প্রস্তুত যাবে ।  كيف القرار وكيف يعيش مسلم والمسلمات مع العدو المعتدي একজন মুসলমান কিভাবে নিশ্চিন্তে শান্তিতে বসবাস করতে পারে, অথচ মুসলমান বোনেরা অত্যাচারী শত্রুদের হাতে---। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আরো দেখুন

Related Posts with Thumbnails