মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০১১

কে বুঝাবে আর কে বুঝবে...... পর্ব -১ ও ২

পর্ব -১
আজকাল অনেকেই তাদের ছেলে মেয়েদের তেমন শাসন করতে দেখা যায় না। শাসন বলতে বেত্রাঘাত, চপোটাঘাত এই জাতীয় কিছু। মারধর আজ খুবই ঘৃনার চোখে দেখা হয়। শিশুদের মানসিক বিকাশ নাকি বাধাগ্রস্থ হয। যার ফলশ্রুতিতে ছেলে মেয়েরা বাবা মার মান্য করাতো দূরের কথা এমন সব অপকর্ম করে বসে যার জন্য মাথা ঠুকেও কোন লাভ হয় না।
আমার প্রশ্ন হল, আজ যারা অভিভাবক হিসাবে আছেন তারা ছোটবেলায় কি কম বেশি বাবা মা শিক্ষক কর্তৃক মারধর এর শিকার হননি। আর তার জন্য আপনাদের মানসিক বিকাশ কি বাধাগ্রস্থ হয়েছে!! আমি হলফ করে বলতে সবাই এক বাক্যে স্বীকার করবেন, ছোটবেলায় যেসব কারণে তারা শাসন করেছেন সবগুলোর জন্যই আপনি আজ একজন সঠিক মানুষ হতে পেরেছেন। শাসনগুলো তখন অবশ্যই দরকার ছিল। তবে আজ আপনার সন্তানের বেলায় শাসন নেই কেন? কেন তাকে এতো গুলো বিষয়ে ছাড় দেন?
আপনাদের বেলায় সন্ধ্যা হলেই বই খাতা নিয়ে পড়তে বসতেই হতো। এর কোন বিকল্প ছিল না। আর আজ সন্ধ্যা হলে সন্তান কোথায় থাকে আপনি তা বলতেই পারেন না কিংবা তা জানার প্রয়োজনও বোধ করেন না। কিন্তু আফসোস করা হয় সন্তান কথা শুনে না, সন্তান মানুষ হলো না... হায় কি বুঝাবে আর কে বুঝবে।

পর্ব -২
আজকাল বোরকার প্রচলন খুবই বেড়ে গেছে। অবশ্য এর মধ্যে অধিকাংশই বোরকার মধ্যে পড়ে না। তবুও বোরকা নামে ঢাকা হয়। যা হোক অনেকেই হাত পা মুড়েই বোরকা পড়েন। তাদের নিয়েই কিছু কথা। আমার জানা নেই কেন তারা বোরকা পড়ে? কারণ তারা অনেকেই বোরকা পড়েন ঠিকই, তবে তাদের সাথে থাকা যুবতী কন্যা, বোরকাতো দূরের কথা এমন সব পোষাক পড়ে যা দেখলে তাদের অর্ধউলঙ্গ মনে হয়।
অনেকেই তাদের মেয়েদের ইভটিজিং থেকে রক্ষা করার জন্য মেয়ের সাথে সাথে নিজেও থাকেন। কিন্তু আপনার মেয়ে যেভাবে নিজেকে অন্যের সামনে দেখাচ্ছে তা আপনার চোখে পড়ে না। আজ আপনি আপনার মেয়ের সাথে আছেন কাল যখন আপনি থাকবেন না তখন অন্য কেউ যদি একটু বেশিই আপনার মেয়েকে দেখে নেয় তখন আইনের কাছে দৌড়িয়েও হারানো ইজ্জত ফিরিয়ে আনতে পারবেন না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আরো দেখুন

Related Posts with Thumbnails