এবার বোরকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের অধ্যক্ষ
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম হোসেন সরকার। কলেজ ড্রেসকোড ভঙ্গ করে ছাত্রীদের
লম্বা বোরকা পরতে নিষেধ করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, লম্বা বোরকাকে ‘অড’ বা
দৃষ্টিকটূ হিসেবেও উল্লেখ করেছেন অধ্যক্ষ। মুসলমান নারীদের জন্য ফরজ বিধান পর্দার মাধ্যম বোরকার বিরুদ্ধে অধ্যক্ষের এ অবস্থানের কারণে চরম
ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ভুক্তভোগী অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে। এ ঘটনার
তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে ওই অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করেছে
বিভিন্ন ধর্মীয় নেতারা। অন্যথায় সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনে নামার
হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তারা।
রাজউক কলেজে বোরকা পরে আসতে অধ্যক্ষ ছাত্রীদের মঙ্গলবার সকালেই ডেকে নিষেধ করেছিলেন। তাদের বলা হয়েছিল, বোরকা ছাড়াই রাজউকে ক্লাস করতে হবে। তা না হলে তাদের কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকতে না দেয়া হয়। সে জন্য কলেজ গার্ডদের ডেকে নির্দেশ দেন অধ্যক্ষ।
অভিভাবকদের মাধ্যমে এ নির্দেশনার খবর পেয়ে গতকাল সকালেই কলেজ গেটে অবস্থান নিয়ে কয়েকজন সাংবাদিক ঘটনার সত্যতা পান। তারা জানান, সকাল ৭টার দিকে বোরকা পরা ৫ ছাত্রী কলেজের মেইন বিল্ডিংয়ে ঢোকার আগে তাদের কয়েকজন শিক্ষক থামিয়ে দেন। তাদের প্রায় এক ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয় বলে অভিভাবকরা জানান। পরে কলেজে সাংবাদিক আসার খবর পেয়ে অধ্যক্ষ কিছুটা নমনীয় হয়ে কোটের মতো হাফ বোরকা পরে ক্লাসে যেতে অনুমতি দেন।
নতুন এ নির্দেশনা নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে একজন অভিভাবকের বাকবিতণ্ডারও খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া অন্য অভিভাবক ও ছাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। অনেকেই জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রীরা বোরকা পরে কলেজে এলেও কোনো সমস্যা হয়নি। এখন কেন এ নির্দেশনা। তাছাড়া বোরকা তথা পর্দা ইসলামের ফরজ বিধান। এখন আমরা কার নির্দেশনা মানব? কলেজের ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতেও এধরনের কোনো নির্দেশনা ছিল না। থাকলে আমরা ভর্তি হতাম না। কর্তৃপক্ষ বোরকাবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে প্রয়োজনে কলেজ ছেড়ে চলে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছে অনেকে।
এবিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম হোসেন সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্কুলের একটা ড্রেসকোড আছে। এটা সবাইকে মানতে হবে। এর সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বোরকা অ্যালাউ করা সম্ভব নয়। তিনি লম্বা বোরকাকে ‘অড’ বা দৃষ্টিকটূ ড্রেস হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, একটি মেয়ে এ বিষয়ে জোরালো আপত্তি করেছে, সে পায়ের নখ পর্যন্ত বোরকা পরে এসেছে। এটা দৃষ্টিকটূ। তার বোন এসেছিল সঙ্গে সে খুব গোঁড়া। সে বলছে, তার বোন এ বোরকাই পরে আসবে। আমরা এটা অ্যালাউ করতে পারি না। তাই তাকে ক্লাসে ঢুকতে দেয়া হয়নি। অধ্যক্ষ বলেন, হ্যাঁ এটা ঠিক, আমরা ভর্তির সময় এটা বলিনি। তবে এটা তো মানবেন যে শিক্ষার্থীদের ড্রেসকোড মেনে চলতে হবে। আমরা নির্দিষ্ট মাপের বোরকার অনুমতি দিয়েছি। পায়ের নখ পর্যন্ত বোরকার অনুমতি দেয়া সম্ভব নয়। এখানে তারা পিটি প্যারেড করে, সবাই একরকম ড্রেস পরে থাকে, আর বাকি কয়েকজন ভিন্ন ড্রেস পরবে, এটা দৃষ্টিকটূ। আমরা তাই এটা গ্রহণ করছি না। অধ্যক্ষ নিজেকে ধর্মীয় অনুভূতির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে বলেন, আমি নিজে হাজি মানুষ, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি। তাই বলে কলেজের নিয়ম-শৃঙ্খলাকে ভাঙতে দিতে পারি না। সামনের ভর্তি মৌসুমে তারা বোরকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নির্দেশনা জারি করবেন বলে জানান তিনি।
অপসারণ দাবি বিভিন্ন মহলের : এদিকে বোরকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার অভিযোগে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ অধ্যক্ষকে অবিলম্বে অপসারণের দাবি করেছে বিভিন্ন মহল।
এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম বলেন, রাজধানী ঢাকার উত্তরা রাজউক কলেজে বোরকা পরে কলেজে ঢুকতে মানা মর্মে আইন করে কলেজের প্রিন্সিপাল আল্লাহ ও রাসুলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এ আইন আল্লাহর বিরুদ্ধে, মুসলমানদের বিরুদ্ধে, এ আইন কোনো মুসলমান মেনে নিতে পারে না। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছি, রাজউক কলেজের ছাত্রীর অশ্লীল ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। বর্তমানে বোরকার বিরুদ্ধে আইন এবং পর্দানশীন মেয়েদের কলেজে ঢুকতে না দিয়ে প্রিন্সিপাল যে অমার্জনীয় অপরাধ করেছেন অবিলম্বে তাকে বহিষ্কার এবং এ আইন বাতিল না করলে সরকারের বিরুদ্ধে দেশময় আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠবে।
ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনী বলেন, বোরকা পরা বা পর্দা করতে নিষেধ করা সম্পূর্ণ কোরআনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। যে অধ্যক্ষ এ কাজ করেছেন তাকে বহিষ্কার করতে হবে। তাছাড়া কোরআনের বিধান তথা কোরআন অবমাননার অপরাধে শাস্তি দিতে হবে। একই দাবি জানিয়েছেন খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক। সম্মিলিত ওলামা-মাশায়েখ পরিষদ নেতা ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, এ দেশে ইসলাম বিদায় করার জন্য দেশি-বিদেশি বামচক্র ওঠেপড়ে লেগে ষড়যন্ত্র করছে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্লজ্জভাবে বোরকাবিরোধী তত্পরতা চলছে। অবিলম্বে সরকার এটা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে দেশে গৃহযুদ্ধ বাধাসহ বিপর্যয়কর অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম কবির এক বিবৃতিতে বলেন, রাজধানীর রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের প্রিন্সিপাল ব্রিগেডিয়ার মোহাম্মদ গোলাম হোসেন সরকারের বোরকাবিরোধী সিদ্ধান্ত মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং আল্লাহর নির্দেশ পালনে নিষেধ করে আল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। এছাড়া জাতীয় তাফসির পরিষদের চেয়ারম্যান মুফতি আহমদ আব্দুল কাইয়ুমসহ বিভিন্ন মহল প্রতিবাদ জানিয়েছে।
রাজউক কলেজে বোরকা পরে আসতে অধ্যক্ষ ছাত্রীদের মঙ্গলবার সকালেই ডেকে নিষেধ করেছিলেন। তাদের বলা হয়েছিল, বোরকা ছাড়াই রাজউকে ক্লাস করতে হবে। তা না হলে তাদের কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকতে না দেয়া হয়। সে জন্য কলেজ গার্ডদের ডেকে নির্দেশ দেন অধ্যক্ষ।
অভিভাবকদের মাধ্যমে এ নির্দেশনার খবর পেয়ে গতকাল সকালেই কলেজ গেটে অবস্থান নিয়ে কয়েকজন সাংবাদিক ঘটনার সত্যতা পান। তারা জানান, সকাল ৭টার দিকে বোরকা পরা ৫ ছাত্রী কলেজের মেইন বিল্ডিংয়ে ঢোকার আগে তাদের কয়েকজন শিক্ষক থামিয়ে দেন। তাদের প্রায় এক ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয় বলে অভিভাবকরা জানান। পরে কলেজে সাংবাদিক আসার খবর পেয়ে অধ্যক্ষ কিছুটা নমনীয় হয়ে কোটের মতো হাফ বোরকা পরে ক্লাসে যেতে অনুমতি দেন।
নতুন এ নির্দেশনা নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে একজন অভিভাবকের বাকবিতণ্ডারও খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া অন্য অভিভাবক ও ছাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। অনেকেই জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রীরা বোরকা পরে কলেজে এলেও কোনো সমস্যা হয়নি। এখন কেন এ নির্দেশনা। তাছাড়া বোরকা তথা পর্দা ইসলামের ফরজ বিধান। এখন আমরা কার নির্দেশনা মানব? কলেজের ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতেও এধরনের কোনো নির্দেশনা ছিল না। থাকলে আমরা ভর্তি হতাম না। কর্তৃপক্ষ বোরকাবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে প্রয়োজনে কলেজ ছেড়ে চলে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছে অনেকে।
এবিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম হোসেন সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্কুলের একটা ড্রেসকোড আছে। এটা সবাইকে মানতে হবে। এর সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বোরকা অ্যালাউ করা সম্ভব নয়। তিনি লম্বা বোরকাকে ‘অড’ বা দৃষ্টিকটূ ড্রেস হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, একটি মেয়ে এ বিষয়ে জোরালো আপত্তি করেছে, সে পায়ের নখ পর্যন্ত বোরকা পরে এসেছে। এটা দৃষ্টিকটূ। তার বোন এসেছিল সঙ্গে সে খুব গোঁড়া। সে বলছে, তার বোন এ বোরকাই পরে আসবে। আমরা এটা অ্যালাউ করতে পারি না। তাই তাকে ক্লাসে ঢুকতে দেয়া হয়নি। অধ্যক্ষ বলেন, হ্যাঁ এটা ঠিক, আমরা ভর্তির সময় এটা বলিনি। তবে এটা তো মানবেন যে শিক্ষার্থীদের ড্রেসকোড মেনে চলতে হবে। আমরা নির্দিষ্ট মাপের বোরকার অনুমতি দিয়েছি। পায়ের নখ পর্যন্ত বোরকার অনুমতি দেয়া সম্ভব নয়। এখানে তারা পিটি প্যারেড করে, সবাই একরকম ড্রেস পরে থাকে, আর বাকি কয়েকজন ভিন্ন ড্রেস পরবে, এটা দৃষ্টিকটূ। আমরা তাই এটা গ্রহণ করছি না। অধ্যক্ষ নিজেকে ধর্মীয় অনুভূতির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে বলেন, আমি নিজে হাজি মানুষ, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি। তাই বলে কলেজের নিয়ম-শৃঙ্খলাকে ভাঙতে দিতে পারি না। সামনের ভর্তি মৌসুমে তারা বোরকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নির্দেশনা জারি করবেন বলে জানান তিনি।
অপসারণ দাবি বিভিন্ন মহলের : এদিকে বোরকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার অভিযোগে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ অধ্যক্ষকে অবিলম্বে অপসারণের দাবি করেছে বিভিন্ন মহল।
এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম বলেন, রাজধানী ঢাকার উত্তরা রাজউক কলেজে বোরকা পরে কলেজে ঢুকতে মানা মর্মে আইন করে কলেজের প্রিন্সিপাল আল্লাহ ও রাসুলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এ আইন আল্লাহর বিরুদ্ধে, মুসলমানদের বিরুদ্ধে, এ আইন কোনো মুসলমান মেনে নিতে পারে না। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছি, রাজউক কলেজের ছাত্রীর অশ্লীল ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। বর্তমানে বোরকার বিরুদ্ধে আইন এবং পর্দানশীন মেয়েদের কলেজে ঢুকতে না দিয়ে প্রিন্সিপাল যে অমার্জনীয় অপরাধ করেছেন অবিলম্বে তাকে বহিষ্কার এবং এ আইন বাতিল না করলে সরকারের বিরুদ্ধে দেশময় আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠবে।
ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনী বলেন, বোরকা পরা বা পর্দা করতে নিষেধ করা সম্পূর্ণ কোরআনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। যে অধ্যক্ষ এ কাজ করেছেন তাকে বহিষ্কার করতে হবে। তাছাড়া কোরআনের বিধান তথা কোরআন অবমাননার অপরাধে শাস্তি দিতে হবে। একই দাবি জানিয়েছেন খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক। সম্মিলিত ওলামা-মাশায়েখ পরিষদ নেতা ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, এ দেশে ইসলাম বিদায় করার জন্য দেশি-বিদেশি বামচক্র ওঠেপড়ে লেগে ষড়যন্ত্র করছে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্লজ্জভাবে বোরকাবিরোধী তত্পরতা চলছে। অবিলম্বে সরকার এটা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে দেশে গৃহযুদ্ধ বাধাসহ বিপর্যয়কর অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম কবির এক বিবৃতিতে বলেন, রাজধানীর রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের প্রিন্সিপাল ব্রিগেডিয়ার মোহাম্মদ গোলাম হোসেন সরকারের বোরকাবিরোধী সিদ্ধান্ত মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং আল্লাহর নির্দেশ পালনে নিষেধ করে আল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। এছাড়া জাতীয় তাফসির পরিষদের চেয়ারম্যান মুফতি আহমদ আব্দুল কাইয়ুমসহ বিভিন্ন মহল প্রতিবাদ জানিয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন